সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা পাইকুরাটি ইউনিয়নের জিংলীগড়া গ্রামের অজুফা আক্তার (৩২) কে বাড়ি কিনে দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা আত্ম সাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি পত্র পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি নিম্ন সাক্ষর কারী এই ঘটনা এবং প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃত সত্য ঘটনা হলো আমি মোঃ আবু শাহিদ গত ১১/ ০৫/২০১৯ তারিখে আমাদের লেঙ্গুর গ্রামের যতীন্দ্র দাসের ছেলে মহেন্দ্র দাস এর নিকট হতে ১,৫০০০০( এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা বিনিময়ে কিনে স্ট্যাম্পের উভয় পক্ষের স্বাক্ষর সহ লিখিত সমঝোতায় জমি ক্রয় করি। এক বছর পরে আমি আমার ক্রয় করা জমিতে বাসা নির্মাণ কাজ করতে শুরু করি। ০১/০৫/২০ তারিখ শুক্রবার সকাল দশ ঘটিকা সময় অজুফা আক্তারের স্বামী লালদন গং সহ আমার বাসা নির্মাণ ( চলমান) কাজে এসে ভাংচুর করে এবং রট, সিমেন্টের বস্তা, কাট, বাঁশ খুলে নিয়ে চলে যায়। এই দিন সাথে সাথে আমি বর্তমান চেয়ারম্যানকে বিষটি জানিয়ে থানায় অভিযোগ পত্র দাখিল করিয়া থাকি।
এর মধ্যে ০৩/০৫ /২০ ইং তারিখে বিভিন্ন অনলাইন ও ফেইসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি আমার বাসা নির্মাণ জায়গা নিয়ে আমার মামলার ১ নং আসামী লালদনের স্ত্রী অজুফা আক্তার ৫ লক্ষ্য টাকা আত্মসাথের কথা বলে আমাকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগের ফলে আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি জন্ম থেকেই জিংলীগড়া গ্রামে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছি এবং সকলের ভোটের মাধ্যমে ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হয়ে দায়ীত্ব পালন করে আসছি। সমাজের সকল শ্রেণীর লোকের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া গ্রামে যাওয়া হয় না।
অজুফা আক্তারকে দিয়ে কয়েকজন কুচক্রমহল সম্মান হেয় করার জন্য আমার উপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করছে বলে আমি ধারণা করছি। এ বিষয়ে টিভি, জাতীয় পত্র পত্রিকা, অনলাইনে আমার বাসা নির্মাণ কাজে ভাংচুর তুলে দেওয়া হয়েছিলো। থানায় দেওয়া অভিযোগের সঠিক তদন্ত হলে অবশ্যই সত্যতা বেরিয়ে আসবে । এ ব্যপারে প্রশাসন,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।
সাইফ উল্লাহ
০৪/০৫/২০